খোকার মৃত্যুতে তারেক-ফখরুলের শোক

copy post
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা আর নেই। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 
সোমবার (৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বেলা ১টায় নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিএনপির সিনিয়র এই নেতা। তার মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান। 
হাসপাতালে আছেন তার ছেলে বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। এছাড়াও তার মা ইসমত হোসেন, বোন সারিকা সাদেক, ভাই ইশফাক হোসেন আছেন।
এর আগে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ১৮ অক্টোবর সাদেক হোসেন খোকাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৮ অক্টোবর তার স্বাস্থ্যের আরও অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
সাদেক হোসেন খোকা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। চারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য। দুই বার কেবিনেট মন্ত্রী ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি অবিভক্ত ঢাকার মেয়র, কেবিনেট মন্ত্রী ও অবিভক্ত ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে ছিলেন।
খোকার জীবনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে দেশে আনা পরিবারের পক্ষে সম্ভব হবে কিনা তা এখনো নিশ্চিত নয়। পাসপোর্ট না থাকায় দেশে ফিরতে পারছেন না তিনি। এখন কী করণীয়, এ নিয়ে স্বজনেরা বিভ্রান্তিতে আছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভিজিট ভিসার নিয়ম মোতাবেক, ৬ মাস পর পর যাওয়া-আসা করে মার্কিন ভিসা বৈধ রাখার নিয়ম। ২০১৭ সালে খোকা ও তার স্ত্রী ইসমত হোসেনের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তারা নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার ব্যাপারে কনস্যুলেট থেকে কোনো সদুত্তর দেওয়া হয়নি।
২০১৪ সালের মে মাসের ১৪ তারিখে সাদেক হোসেন খোকা চিকিৎসার জন্য সপরিবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। সেখানে তার কিডনির সমস্যা ধরা পড়ে। তার পর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে একটি বাসায় দীর্ঘদিন ধরে থাকছিলেন বিএনপির এ নেতা। বিদেশে থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় দণ্ড হয় খোকার।

Comments

Popular posts from this blog

নিউইয়র্কে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ বাংলাদেশির মৃত্যু