খালেদা জিয়ার কাছে মাফ চাইলেন ইশরাক!ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপরসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার কাছে মাফ চেয়ে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।গত বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন। পাঠকদের জন্য ইশরাকের পোস্টটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-‘কেন মনে প্রাণে রক্তে বিএনপি করি? আমার কাছে বিএনপি মানেই বিশাল বড় বুকের পাটাওয়ালাদের দল। বিশাল বড় কলিজাওয়ালাদের দল। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৩৫ বছর বয়সে বিদ্রোহ করার পরিণাম মৃত্যুদণ্ড জেনেও সম্পূর্ণ নিজ সিদ্ধান্তে বেতার কেন্দ্র দখল করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।আমাদের নেত্রী আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়া ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুর পরোয়া না করে কারাবন্দি রয়েছেন শুধু গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে কোনো আপস করবেন না বলে। একজন সন্তান হারিয়েছেন আরেকজনকে আদৌ দেখতে পারবেন কি না উনি জানেন না। তরুণ যুবক ছেলে মানুষরাও জেলের ভয়ে চুপসে যায়। ওনার সৎসাহস কতটা বিশাল হলে এখনও আপসহীন রয়েছেন, গণতন্ত্রের শেষ প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন।আমার নেতা আমার অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কলিজা এতই বিশাল, নিজের মা ও পরিবারকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশের প্রয়োজনে এবং জনগণের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দীর্ঘদিন নির্বাসনে আছেন। আমার বাবা সাদেক হোসেন খোকা ১৯ বছর বয়সে গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে ঢাকায় এসে অনেক দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়েছেন। তৎকালীন নির্বাচন কমিশন, ডিএফপি ভবন, এয়ারফোর্স রিক্রুটিং অফিসসহ বহু স্থাপনা বিস্ফোরক বসিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজধানীতে পাকবাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও।স্বৈরাচারের সঙ্গে আপস না করায় জটিল রোগে ধুঁকে ধুঁকে শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেছেন ভিনদেশে। বুকভরা কষ্ট থাকলেও বরাবরের মতো দেখিয়েছেন চূড়ান্ত সাহসিকতা। আরও অনেক দুঃসাহসী নেতা রয়েছেন এই দলে। সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, যারা কলকাতায় অবস্থান করেননি মুক্তিযুদ্ধের সময়। মাঠে-ঘাটে জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আর সবচাইতে বড় বুকের পাটা আমাদের তৃণমূল কর্মীদের, যারা ১৩ বছর ধরে অকল্পনীয় নির্যাতন, মামলা, হামলা, গুম, খুন সহ্য করে আজও মনে ও প্রাণে বিএনপি করেন। গুলির মুখে মাঠে থাকার চেষ্টা করেন। এই দল করেও সাহস দেখাতে পারিনি আমি। এখনও মুক্ত করতে পারিনি আমাদের মা আমাদের অভিভাবক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। মা আমাকে মাফ করে দিয়েন।
খালেদা জিয়ার কাছে মাফ চাইলেন ইশরাক!
ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপরসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার কাছে মাফ চেয়ে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
গত বৃহস্পতিবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন। পাঠকদের জন্য ইশরাকের পোস্টটি হুবহু তুলে দেয়া হলো-
‘কেন মনে প্রাণে রক্তে বিএনপি করি? আমার কাছে বিএনপি মানেই বিশাল বড় বুকের পাটাওয়ালাদের দল। বিশাল বড় কলিজাওয়ালাদের দল। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ৩৫ বছর বয়সে বিদ্রোহ করার পরিণাম মৃত্যুদণ্ড জেনেও সম্পূর্ণ নিজ সিদ্ধান্তে বেতার কেন্দ্র দখল করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
আমাদের নেত্রী আমাদের মা বেগম খালেদা জিয়া ৭৫ বছর বয়সে মৃত্যুর পরোয়া না করে কারাবন্দি রয়েছেন শুধু গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে কোনো আপস করবেন না বলে। একজন সন্তান হারিয়েছেন আরেকজনকে আদৌ দেখতে পারবেন কি না উনি জানেন না। তরুণ যুবক ছেলে মানুষরাও জেলের ভয়ে চুপসে যায়। ওনার সৎসাহস কতটা বিশাল হলে এখনও আপসহীন রয়েছেন, গণতন্ত্রের শেষ প্রদীপ জ্বালিয়ে রেখেছেন।
আমার নেতা আমার অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কলিজা এতই বিশাল, নিজের মা ও পরিবারকে প্রাধান্য না দিয়ে দেশের প্রয়োজনে এবং জনগণের ভবিষ্যতের কথা ভেবে দীর্ঘদিন নির্বাসনে আছেন। আমার বাবা সাদেক হোসেন খোকা ১৯ বছর বয়সে গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে ঢাকায় এসে অনেক দুঃসাহসিক অভিযান চালিয়েছেন। তৎকালীন নির্বাচন কমিশন, ডিএফপি ভবন, এয়ারফোর্স রিক্রুটিং অফিসসহ বহু স্থাপনা বিস্ফোরক বসিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজধানীতে পাকবাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও।
স্বৈরাচারের সঙ্গে আপস না করায় জটিল রোগে ধুঁকে ধুঁকে শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেছেন ভিনদেশে। বুকভরা কষ্ট থাকলেও বরাবরের মতো দেখিয়েছেন চূড়ান্ত সাহসিকতা। আরও অনেক দুঃসাহসী নেতা রয়েছেন এই দলে। সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, যারা কলকাতায় অবস্থান করেননি মুক্তিযুদ্ধের সময়। মাঠে-ঘাটে জীবনবাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আর সবচাইতে বড় বুকের পাটা আমাদের তৃণমূল কর্মীদের, যারা ১৩ বছর ধরে অকল্পনীয় নির্যাতন, মামলা, হামলা, গুম, খুন সহ্য করে আজও মনে ও প্রাণে বিএনপি করেন। গুলির মুখে মাঠে থাকার চেষ্টা করেন। এই দল করেও সাহস দেখাতে পারিনি আমি। এখনও মুক্ত করতে পারিনি আমাদের মা আমাদের অভিভাবক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে। মা আমাকে মাফ করে দিয়েন।
Comments
Post a Comment